পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ু ন্যায়বিচার হবে না।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করায় ছাত্র-জনতার অভিযোগ নিরসনের উপায় হলো: আইন উপদেষ্টা
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে।
এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
এদিকে কপ-২৯ সম্মেলনের আগে, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এসময় বক্তব্য দেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মুনজুরুল হান্নান খান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
সেমিনারে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ-২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা।
আলোচনা মূলত অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু অর্থায়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জলবায়ু সহনশীলতা গঠনে তাদের ভূমিকা নিয়ে ছিল।
অনুষ্ঠানের শেষে কপ- ২৯ সম্মেলনে জোরালো অ্যাডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যাতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়।
উপস্থিত প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহনশীলতা গঠনে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে কৃষকের স্বার্থে কাজ করতে আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার